

উষ্ণায়নে কানাডার শেষ অক্ষত মেরু-তুষার প্রাচীরটি ধসে পড়ল
খুব সম্প্রতি কানাডীয় সুমেরু সাগরে, শেষ অক্ষত মেরু-তুষার প্রাচীরটি ভেঙে (Ice shelf collapses) পড়েছ। দ্রুত সেই বরফ গলতে শুরু করেছে। দ্রুত সেই বরফ …
নিজস্ব সংবাদদাতা: তৃতীয় গ্রহের পক্ষে খুবই কঠিন সময়। একাধিক দিক দিয়ে পৃথিবী সমস্যায় জেরবার হচ্ছে। অস্তিত্বের অশনি সংকট দেখতে পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে প্রতি বছর ভাঙছে মেরু অঞ্চলের বরফের পাহাড়। এসব বরফের পাহাড়ের আকৃতি কয়েকশ মাইল। ফলে ভয়াবহ কুপ্রভাব পড়ছে পৃথিবীর জলবায়ুতে। খুব সম্প্রতি কানাডীয় সুমেরু সাগরে, শেষ অক্ষত মেরু-তুষার প্রাচীরটি ভেঙে (Ice shelf collapses) পড়েছ। দ্রুত সেই বরফ গলতে শুরু করেছে। গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে মাত্র দুদিনের মধ্যে অক্ষত মেরু-তুষার প্রাচীরটির প্রায় ৪০ শতাংশ গলে গেছে।


এই বিষয়ে ‘দ্য কানাডিয়ান আইস সার্ভিস ‘ জানিয়েছে, “আসলে স্বাভাবিকের চেয়ে এখন অনেক বেশি তাপমাত্রা। গরম বাতাস ও খোলা জল থাকায় ওই সুবিশাল হিমবাহটি ভেঙে গেছে।” জানা যাচ্ছে, এলসমেয়ার দ্বীপের কাছেই ছিল এই ‘মিলনে আইসশেলফ’ নামের বিশাল তুষার প্রাচীর। একটা শহরের আকৃতির মতো এক একটা বরফের টুকরো হয়ে ভেঙে পড়েছে ওই মেরু-তুষার প্রাচীরটি। এভাবে বরফ গলতে শুরু করলে গোটা মানব সভ্যতার সলিল সমাধি হতে বেশি সময় লাগবে না।
[ আরও পড়ুন ] অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে বিপর্যস্থ ৩০০ কোটি প্রাণী
জানা যাচ্ছে, প্রায় ৮০ স্কয়ার কিমির জুড়ে ভেসে ছিল মেরু-তুষার প্রাচীরটি। এটাই বিশ্বের শেষ এত বড় মেরু-তুষার প্রাচীর। গত ৩০ বছরের চেয়ে বেশি দ্রুত গতিতে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এই মেরু-তুষার প্রাচীরটি ভেঙে পড়েছে। গোটা বিষয়ে এখন ভাইরাস সংক্রমণের জন্য কারখানা ও পরিবহন অনেকটাই থেমে আছে। পরিবেশদূষণের মাত্রা অনেকটা কমেছে। তবুও ঠেকানো গেলো না এই বিপর্যয়। বরফ গলে সমুদ্রের পৃষ্টের উচ্চতা বাড়বেই। পৃথিবীর অনেকগুলি আধুনিক শহর নদী ও সমুদ্রের পাশে। ফলে ধ্বংসের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সুমেরুর সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ক্রমশ ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে।
[ আরও পড়ুন ] চীন জীবাণু অস্ত্র তৈরি করছে পাকিস্তানের সঙ্গে