

Mass Protest: ইরাকে বিক্ষোভে নিহত ৪০০,পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
ইরাকে সরকার-বিরোধী আন্দোলনের (Mass Protest) জেরে ৪০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। যার জেরে ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর উপর চাপ বাড়ছিল।
ইরাকে সার্বিক পরিস্থিতি চরমে পৌছালো। ইরাকে সরকার-বিরোধী আন্দোলনের (Mass Protest) জেরে ৪০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। যার জেরে ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর উপর চাপ বাড়ছিল। লাগাতার আন্দোলনের জেরে অবশেষে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল-মাহদি। ইরাকে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল দু’মাস আগে। এর মধ্যে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন চারশোর বেশি আন্দোলনকারী। এই আন্দোলনে আহত আরও ১৫ হাজার মানুষ। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিয়া ধর্মগুরুরা চেয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিন।
গত বৃহস্পতিবারই পুলিশের গুলিতে ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজার মানুষ। তার ২৪ ঘণ্টার মাথায় প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়লেন। আবদেল মাহদি এদিন বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আমি সংসদের কাছে ইস্তফাপত্র দেব।” তার কয়েকঘণ্টা আগেই আয়াতুল্লা আলি সিস্তানি সাপ্তাহিক ধর্মোপদেশের সময় বলেন, সংসদের উচিত বর্তমান মন্ত্রিসভাকে সরিয়ে দেওয়া। এর পরে বিভিন্ন দলও বিবৃতি দিয়ে বলে, বর্তমান সরকারের ওপর তাদের আস্থা নেই। পরে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন। অক্টোবরের শুরু থেকে ইরাকে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ-আন্দোলন। এদিনও বাগদাদের তাহরির স্কোয়ারে আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের মোকাবিলায় তৈরি ছিল রায়ট পুলিশ।
ইরাকের সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও আর্থিক মন্দার জেরে রাস্তায় নেমে আসে জনতা। ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ইরানের হস্তক্ষেপ নিয়েও প্রতিবাদ জানায় বিক্ষোভকারীরা। গত বুধবার নাজাফ শহরে ইরানের দূতাবাসেও হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। কয়েক ঘণ্টা আগেই ইরাকের অত্যন্ত প্রভাবশালী শিয়া ধর্মগুরু আয়াতুল্লা আলি সিস্তানি সাপ্তাহিক ধর্মোপদেশের সময় বলেন, সংসদের উচিত বর্তমান মন্ত্রিসভাকে সরিয়ে দেওয়া। এরপরে বিভিন্ন দলও বিবৃতি দিয়ে বলে, বর্তমান সরকারের ওপর তাদের আস্থা নেই। আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা এই প্রথমবার বিজয় অর্জন করলাম। এই জয় শহিদদের উদ্দেশে উৎসর্গ করছি। তবে অন্যান্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।