

কিম সেনা আন্তঃকোরিয়ান লিয়াজোঁ অফিস ভাঙলো
পুরানো ইহিহাস আবার সামনে আসছে। সম্প্রতি সব ধরনের আন্তঃকোরিয়ান যোগাযোগ (Kaesong liaison office) বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
দুই কোরিয়াতে দ্বন্দ্ব নতুন করে শুরু হয়েছে। পুরানো ইহিহাস আবার সামনে আসছে। সম্প্রতি সব ধরনের আন্তঃকোরিয়ান যোগাযোগ (Kaesong liaison office) বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দুই দেশের নেতাদের যোগাযোগের হটলাইনও বন্ধ। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সীমান্ত রেখাটিতে উদ্বেগের। সেখানে মোতায়েন হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সেনা।
লাদাখে চীন সেনার হাতে নিহত কর্নেল ও ২ জওয়ান – আরও জানতে ক্লিক করুন …
এখানে দু’দেশের প্রায় ১০ লাখ সেনা সদস্য মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল জায়গাতে পৌঁছাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার একটি আন্তঃকোরিয়ান লিয়াজোঁ অফিস গুঁড়িয়ে দিয়েছে কিম জং উনের সেনারা। আন্তর্জাতিক মহলে এবিষয়ে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যুদ্ধের আবহাওয়া থামাতে সকল দেশ মরিয়া।


আসলে অনেক আলোচনার পর দু’দেশের সংকট কমানোর জন্য ২০১৮ সালে লিয়াজোঁ অফিস খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের সমাপ্তি হয়। কোনো শান্তিচুক্তি না হাওয়ায় উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া এখনো যুদ্ধে রয়েছে। উত্তর-দক্ষিণ যৌথ লিয়াজোঁ অফিসের মাধ্যমে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ হতো।
নেপাল সীমান্তে বাড়াচ্ছে ১০০ সেনা চৌকি – আরও জানতে ক্লিক করুন …
২০২০ সালের ৯ই জুন রাত ১২টা থেকে তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়েছে। ভাইরাস থামাতে বিধিনিষেধের কারণে জানুয়ারি মাসে লিয়াজোঁ অফিসটি সাময়িক বন্ধ হয়। তখন ফোনের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ হতো। প্রতিদিন সকাল ৯টা এবং বিকেল ৫টায় দুই কোরিয়া যোগাযোগ করতো। তবে গত ৮ই জুন দক্ষিণ কোরিয়ার কলের উত্তর দেয়নি উত্তর কোরিয়া।
স্ত্রী মেলানিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবাহ বিচ্ছেদ! – আরও জানতে ক্লিক করুন …
পরে দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ হয়। উত্তর কোরিয়ার ‘কায়সং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’-এর কাছাকাছি একটি লিয়াজোঁ অফিস ছিল। এই অফিসে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে কিম জং উনের সেনারা। আজ সকালে প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। সিওলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই লিয়াজোঁ অফিসটি বানিয়েছিল পিয়ংইয়ং। দু’দেশের আলোচনার জন্য সীমান্তে এই লিয়াজোঁ অফিসটি তৈরি করা হয়। আজ সেই অফিস একেবারেই ভগ্নস্তুপ।