

জাপানে আত্মহত্যার হার বাড়ছে – ভাইরাসের থেকে বেশি মৃত্যু
প্রতিদিন বাড়ছে আত্মহত্যার (Suicide Rate in Japan) প্রবণতা। জাপান সরকারের এক তথ্য জানাচ্ছে, চলতি বছরে করোনা আক্রান্ত হয়ে জাপানে …
নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রথিবী ও এশিয়ার মধ্যে এক আধুনিক ও উন্নত দেশ জাপান। সমুদ্র ঘেরা কয়েকটি দ্বীপের সংমিশ্রনে গঠিত এই জাপান, বিজ্ঞানে অনেক দেশকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। তবু এই দেশ এক অদ্ভুত আতংকে দিন কাটাচ্ছে। করোনার ভাইরাসের জন্য জাপানে, বহু মানুষ মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। ফলে প্রতিদিন বাড়ছে আত্মহত্যার (Suicide Rate in Japan) প্রবণতা। জাপান সরকারের এক তথ্য জানাচ্ছে, চলতি বছরে করোনা আক্রান্ত হয়ে জাপানে যত না মৃত্যু হয়েছে, তার চেয়ে বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছেন শুধু অক্টোবর মাসে।
এর পাশে ন্যাশনাল পুলিশ অ্যাজেন্সির পরিসংখ্যান বলছে, গত অক্টোবরে আত্মহত্যা করেছেন মোট ২১৫৩। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে মোট ২১১৯ জন।


এদিকে জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য জানিয়েছে, গত তিন দশকের মধ্যে গত বছরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিশু আত্মহত্যা করেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মার্চ মাস পর্যন্ত প্রাথমিক থেকে হাইস্কুলের ২৫০ জন শিশু আত্মহত্যা করেছে। আসলে ১৯৮৬ সালের পর থেকে জাপানে এত বিপুল সংখ্যক শিশু আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেনি। এই আত্মহত্যার কারণের মধ্যে আছে পারিবারিক সমস্যা, ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা ও বন্ধুদের কাছ থেকে অবজ্ঞার ব্যবহার। যদিও জাপানের সেই সব স্কুলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এসব ঘটনার ১৪০টিরই সঠিক কারণ তারা জানে না। এই সব ক্ষেত্রে শিশুরা, আত্মহত্যার আগে কোনো নোট লিখে রেখে যায়নি।
[ আরও পড়ুন ] ট্রাম্প শেষ বেলায় ইরানে হামলা চালাতে পারেন
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাপানে আত্মহত্যার হার কমে আসে। গত অক্টোবরে মাসিক হার আবার বেড়ে যায়, যা ২০১৫ সালের মে মাসের পর সর্বোচ্চ। টোকিওর ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মিচিকো উয়েদা জানান, ‘আমরা লকডাউনেও ছিলাম না। অন্যান্য দেশের তুলনায় কোভিড-১৯ এ জাপানে ক্ষতিকর প্রভাব কম পড়েছে। অথচ এরপরও আমাদের আত্মহত্যার হার বেড়ে গেছে। এর থেকে বোঝা যায়, নিকট ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশগুলো এই ধরণের পরিস্থিতির বা এরচেয়েও বাজে পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে।’ বিষণ্ণতা ও আত্মহত্যার অন্যতম প্রধান কারণ বিচ্ছিন্নতা বা একা থাকার প্রবণতা।
[ আরও পড়ুন ] মার্কিন অস্ত্র বহনকারী রণতরীকে ধাওয়া করেছে রাশিয়া
জাপানে একসময় বৃদ্ধ অভিভাবকদের দেখাশোনা করতো তাদের সন্তানরা। তবে বর্তমানে সেই পদ্ধতি পাল্টে গেছে। বৃদ্ধাশ্রম বা হাসপাতালে একাকী মৃত্যুবরণের ঘটনা এখন প্রতিদিন বাড়ছে।