

আগ্রাসনী চীনের বিরুদ্ধে শক্তি দেখাল তাইওয়ান
তাইওয়ান আসলে চীন (Taiwan and China) থেকে বেরিয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ। তাইওয়ান দেশে কোন দল ও জনগণের একটি অংশ তাইওয়ানকে একটি …
নিজস্ব সংবাদদাতা: আগ্রাসনী চীন মনে করে তাইওয়ান তাদের দেশের অংশ। তাইওয়ান আসলে চীন (Taiwan and China) থেকে বেরিয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ। তাইওয়ান দেশে কোন দল ও জনগণের একটি অংশ তাইওয়ানকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে দেখতে চান। আবার অনেকে চীনের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পক্ষে। অর্থাৎ এই দেশ চীনেরও অংশ নয়, আবার চীন থেকে আলাদাও নয়। এই দোটানার মধ্যে তাইওয়ান নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করলো। এই শক্তির বহর শুধুমাত্র চীনের জন্য।
তাইওয়ানের সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনী মহড়া দিয়ে তাদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে। বিদেশের আক্রমণ হলে প্রত্যুত্তর দেওয়া জন্য এই মহড়া । এই সামরিক মহড়ায় অংশ নেয় আট হাজার সেনা। এ ছাড়া ছিল বিমান বাহিনীর এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং দেশীয় ফাইটার জেট চিং-কুও। মধ্য তাইওয়ানে অনুষ্ঠিত এই সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল ট্যাঙ্কও।


আসলে চীনকে নিজেদের শক্তি সম্পর্কে সচেতন করতে এই মহড়া চালিয়েছে তাইওয়ান।নৌবাহিনী সামরিক মহড়ার সময় দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র এবং মেশিনগান নিয়ে মহড়া চালায়।
[ আরও পড়ুন ] ইয়েমেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে সৌদি আরব
এই মহড়া দেখতে উপস্থিত ছিলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। ২০১৬ সালে ক্ষমতায় বসার পর তিনি চীনের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব নিয়েছেন । যে কোনও মূল্যে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রাখতে তিনি মরিয়া। ১৯৮০ সাল থেকেই প্রতিবছর ‘Han Kuang military exercise’ সামরিক মহড়ার আয়োজন করে তাইওয়ান। ২০০৭ সালের পর এই প্রথম সাবমেরিন থেকে টর্পেডো ছুঁড়েছে তাইওয়ান নৌসেনার একটি ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন। বেজিং নিশ্চই দেখতে পাচ্ছে।
[ আরও পড়ুন ] চীনে বন্যায় আক্রান্ত ৩ কোটি ৭০ লাখ – সাথে ভূমিকম্পে দুঃস্বপ্ন