

সৌদি পারমাণবিক কর্মসূচির অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র
এবার সৌদি আরব পারমাণবিক কর্মসূচি (Nuclear program of Saudi)শুরু করছে। সেই প্রক্রিয়ায় সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি কোম্পানি।
সারা বিশ্ব যেখানে পারমাণবিক শক্তির পরীক্ষা থেকে বিরতি থাকতে চাইছে, সেখানে সৌদি আরবকে মানসিক ভাবে সেই পথে এগিয়ে দিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র| এবার সৌদি আরব পারমাণবিক কর্মসূচি (Nuclear program of Saudi) শুরু করছে। সেই প্রক্রিয়ায় সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি কোম্পানি। তবে এই যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও সৌদির কাজ পেতে দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়া এগিয়েছিল।
সৌদি আরবের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি:
যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানিমন্ত্রী রিক পেরি যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি কোম্পানিকে এবিষয়ে এগিয়ে যেতে বলেছেন| তিনি পারমাণবিক শক্তি প্রযুক্তি বিক্রি ও সহযোগিতার জন্য ছয়টি বিষয়ে গোপন অনুমোদন দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসন নীরবেই সৌদি আরবের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য বড় ধরনের চুক্তি করতে চলেছে। এর মধ্যে দুটি পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের বিষয়টিও আছে।
সৌদিতে ঈদের সময় ৫ দিন কারফিউ – আরও জানতে ক্লিক করুন …
পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন:
তবে শোনা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরবকে, দ্রুত স্পর্শকাতর পারমাণবিক ক্ষমতা স্থানান্তর করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের উদ্বেগ থেকে ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি পরিষদের প্যানেল একটি তদন্ত করছে। আবার প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান পারমাণবিক প্রযুক্তি উন্নয়ন করছে বলে বেশ উদ্বেগে রয়েছে সৌদি। নিউইয়র্ক টাইমসের এক তথ্যে জানা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৮০ বিলিয়ন বা ৮ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তির জন্য এগিয়েছেন যুবরাজ। বেশ গোপনেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পারমাণবিক স্থাপনার নকশা কিনতে চাইছিলেন। আর এই পারমাণবিক চুক্তির বিষয়টি নিয়ে তখন থেকেই বিশ্ব জুড়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
বড় দানবাক্স বুর্জ খলিফা – অগণিত অসহায়দের পাশে – আরও জানতে ক্লিক করুন …
পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার:
কিন্তু এই ভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার ঘটালে মধ্যপ্রাচ্য অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। যুদ্ধের দামামা এখানে বাজতেই চলেছে সবসময়| আর সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওই প্রযুক্তি স্থানান্তরে চাপ দেওয়ার কথা উঠেছে। সৌদির জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, তাদের এই পারমাণবিক কর্মসূচি বেসামরিক ও শান্তিপূর্ণ উদ্দেশে ব্যবহার করা যায়। জানা যাচ্ছে, আর্থসামাজিক উন্নয়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে মধ্যপ্রাচ্যকে সব ধরনের পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন দেখার, এবিষয়ে বিশ্বরাষ্ট্রসঙ্ঘ কি সিদ্ধান্ত নেয়|